চুলের ব্যাপারে ছেলেরা খুব সেনসিটিভ। হেয়ারফল কিংবা চুলের যেকোনো সমস্যা নিয়েই প্রতিটি ছেলে সচেতন। তৈলাক্ত স্ক্যাল্প তাদের হয় যাদের অয়েল গ্ল্যান্ড দিয়ে অনেক বেশি তেল নিঃসরণ হয়। গরমকালে মাথার তৈলাক্ত ত্বকের কারণে চুলের নানবিধ সমস্যা হয়। এসময় অধিকাংশ ছেলেরাই য়েলি হেয়ার ও স্ক্যাল্পের সমস্যার সম্মুখীন হয়। অতিরিক্ত গরম, আর্দ্রতা ও ঘামের কারণে চুলে প্রভাব পড়ে। শ্যাম্পু করার একদিন পরেই চুল কেমন চিটচিটে হয়ে যায়। এতে ধূলোবালি সহজে আটকে যায়। জেনে নিন তৈলাক্ত চুলের যত্নে কী করবেন। তৈলাক্ত ভাব দূর করতে কী ধরনের প্রাকৃতিক প্যাক ব্যবহার করবেন। তৈলাক্ত চুলের জন্য কোন শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ভালো।
তৈলাক্ত চুলের যত্ন যেভাবে নিবেনঃ
ড্রাই হেয়ার এবং তৈলাক্ত চুলের যত্ন নেয়ার ধরন আলাদা। তৈলাক্ত চুল ছেলেদের জন্য খুব বিরক্তিকর। এমনিতেই ছেলেরা অধিকাংশ স্ময় বাইরে থাকে। তার উপর চুলের তেল চিটচিটে ভাব চুলের ড্যামেজকে আরো বাড়িয়ে দেয়। তাই আপনার সৌন্দর্য বর্ধনকারী চুলের যত্ন নিতে হবে নিয়মিত। চলুন তবে জেনে নিই তৈলাক্ত চুলের যত্ন করার নিয়ম-
- চুল নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
- তৈলাক্ত স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখার জন্য নিয়মিত চুল ধুতে হবে।
- তৈলাক্ত চুলের জন্য উপযোগী মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
- শ্যাম্পুতে টি ট্রি অয়েল বা স্যালিসিলিক অ্যাসিড আছে কিনা নিশ্চিত হোন।
- চুলে শ্যাম্পু ব্যবহারের সময় ধীরে ধীরে পরিষ্কার করুন।
- গরম পানি ব্যবহার করা বন্ধ করুন।
- শ্যাম্পুর পর হালকা কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
- মাইল্ড ও অয়েল ফ্রি কন্ডিশনার বেছে নিন।
- চুলে ঘন ঘন আঙুল চালানোর অভ্যাস থাকলে তা বন্ধ করুন।
- অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত বা ভাজা খাবার খাওয়া যাবে না।
- সুষম খাদ্য বেছে নিন যাতে ফল, শাক-সবজি, চর্বিহীন প্রোটিন এবং শস্যদানা থাকে।
- হেয়ার জেল, মোম এবং পোমেডের মতো পণ্যের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
- একান্ত যদি ব্যবহার করতেই হয় তাহলে অয়েল ফ্রি বা ওয়াটার বেজড পণ্য ব্যবহার করুন।
- চুল অতিরিক্ত পরিষ্কার করবেন না।
- অতিরিক্ত চুল ধোওয়া এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি প্রাকৃতিক তেল দূর করে।

তৈলাক্ত চুলের যত্নে প্রাকৃতিক কয়েকটি প্যাকঃ
চুলের যত্নে লেবু, পিঁয়াজ, মুলতানি মাটি, এলোভেরা, চা পাতার পানি, মেহেদী পাতার মতো প্রাকৃতিক উপাদান ভালো কাজে দেয়। আসুন তবে জেনে নিই কিভাবে বানাবেন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য হেয়ার
লেবুর রসঃ
একটি সম্পূর্ণ লেবুর রস নিন তার সাথে এক কাপ পানি মিশান। তারপর সম্পূর্ণ চুলে রিনস (rinse) করুন। তারপর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

আমলকির রসঃ
আমলকির রস চুলের যত্নে খুব উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা চুল পড়া কমায়। এ ছাড়া গরমে বেড়ে যাওয়া খুশকি কমাতেও আমলকি কাজ করে। কয়েকটি আমলকি পানিতে সেদ্ধ করে নিন। এবার ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। মিশ্রণে প্রয়োজনমতো টকদই মিশিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহারের ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করুন।

চা পাতার পানিঃ
চায়ের পাতায় থাকে ট্যানিক এসিড যা চুলের জন্য উপকারী। একটা পাত্রে চায়ের পাতা ফুটিয়ে নিন। তারপর পানিটা ছেঁকে নিন, একটু পানি মেশান। এবার চুলে লাগান। তৈলাক্ত ভাব কমবে।

পাকা কলার হেয়ার প্যাকঃ
চার টেবিল চামচ ম্যাসড পাকা কলা, এক চামচ মধু, এক চা চামচ লেবুর রস একসাথে মেশান। ভালোভাবে চুলে লাগান। আলতোভাবে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। এরপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
তৈলাক্ত চুলের জন্য উপযোগী কয়েকটি শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারঃ
চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। ড্রাই হেয়ার ও ওয়েলি হেয়ারের জন্য আলাদা আলাদা প্রোডাক্ট। তাদের কাজ এবং উপাদানেও রয়েছে ভিন্নতা। আসুন এক নজরে দেখে নিই তৈলাক্ত চুলের যত্নে যে শ্যাম্পুগুলো ব্যবহার করবেন-